স্বদেশ ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে অংশ নিতে তিন দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোতে শেরিং। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ঢাকা এসেছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে শেরিংকে বহনকারী বিমানটি। বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে বাংলাদেশ ও ভুটানের দুই নেতার সম্মানে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
সফরকালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ ছাড়া জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বিশেষ অনুষ্ঠানমালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ বিকেলে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। লোতে শেরিং আজ সন্ধ্যায় সোনারগাঁও হোটেলে প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত নৈশ ভোজে অংশ নেবেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। ওই বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে দুটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এরপর বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সন্ধ্যায় ঢাকায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে দেশটির রয়াল একাডেমি অব পারফর্মিং আর্টসের (রাপা) ২২ জন শিল্পী এবং চার জন সাংবাদিক গত সপ্তাহে ঢাকায় এসেছেন। সফরকালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ডা. লোটে শেরিং দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করবেন।
আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সফর শেষে ভুটানে ফিরে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রতিনিধিদলের সবাই ২১ দিন বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি ভুটানের মহামান্য রাজা ও জনগণের প্রার্থনা ও আশীর্বাদ সঙ্গে নিয়ে আসছি। সরকারি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনার সুযোগ সব সময় পাওয়া যাবে। কিন্তু এবারের সফরের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীর সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্মান জানানো।’
প্রসঙ্গত, ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান চলবে। এই অনুষ্ঠানে ইতিমধ্যে যোগ দিয়েছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে এবং নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিংয়ের পর বাংলাদেশ সফরে আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।